“বাংলা সাহিত্যে মিজান খন্দকারের অবস্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রবর্তন করা হল 'মিজান খন্দকার সাহিত্য পুরস্কার'। কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করা, অনূর্ধ্ব ৪০ বৎসর বয়সের সৃষ্টিশীল লেখক এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, মুক্তগদ্য, প্রবন্ধ সহ মৌলিক গবেষণা, সম্পাদনা ও অনুবাদকর্মের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। এর জন্য ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লেখককে তীব্র কুড়িগ্রাম দফতরে এক কপি বই জমা দিতে হবে৷”
গতকাল ‘তীব্র কুড়িগ্রাম’ পত্রিকার মিজান খন্দকার সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন এর সম্পাদক সুশান্ত বর্মণ৷
তিনি আরো বলেন,
“সাহিত্যের বৈচিত্রময় নানা দিক নিয়ে আলোচনা, বিশ্লেষণ, অনুধাবন প্রভৃতিকে আশ্রয় করে কুড়িগ্রামে প্রতি বছর অক্টোবর মাসে মিজান খন্দকারের জন্ম দিবসে অথবা কাছাকাছি সময়ে আয়োজন করা হবে স্মারক বক্তৃতার। এতে বাংলা সাহিত্যের বিবিধ প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন দেশের বরেণ্য ব্যক্তিগণ। একই অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে 'মিজান খন্দকার সাহিত্য পুরস্কার'।”
২৬ আগস্ট (২০২২), শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাময়িকপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ সম্পাদক সাম্য রাইয়ান, প্রাবন্ধিক মাহমুদ আল হেলাল উজ্জামান, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি কবি জ্যোতি আহমদ, শ্বেতপত্র সম্পাদক মোকলেছুর রহমান, অনলাইন পত্রিকা রৈখিক সম্পাদক জাহানুর রহমান খোকন, কবি ইমতে আহসান শিলু, উদীচীর সংগঠক মঈনুল হক মুক্তা, রিদওয়ান পর্ব প্রমূখ৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘একাল’ সাহিত্যপত্রের সম্পাদক গল্পকার জুলকারনাইন স্বপন, চারু গ্রুপের উদ্যোক্তা ফিরোজ সরকার, অনলাইন পত্রিকা বর্ণপ্রপাতের সম্পাদক জরীফ উদ্দিন, তরুণ গল্পকার আশরাফ রাসেল, ছাত্রনেতা মোঃ অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক সহ আরো অনেকে৷
এবারের সংখ্যায় মিজান খন্দকারের সাহিত্যকর্ম প্রসঙ্গে প্রবন্ধ লিখেছেন সাম্য রাইয়ান, মাহফুজুল ইসলাম শামীম ও সুশান্ত বর্মণ৷ এছাড়াও মিজান খন্দকারের সংক্ষিপ্ত জীবনী ছাপা হয়েছে এ সংখ্যায়৷
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কবি, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক তপন কুমার রুদ্র, গল্পকার আহসান হাবীব জুলকারনাইন স্বপন, কবি হেলাল জাহাঙ্গীর ও কবি শুভ্র সরখেলকে নিয়ে মোট চারটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিলো৷